বিভিন্ন প্রকার ফুল | ফুলের নাম ওবৈশিষ্ট্য | all kind of flower
ফুল
ফুল হচ্ছে সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক। প্রত্যেকের ফুল ভালো লাগে এবং ফুলকে ভালোবেসে মানুষ ফুলের বাগান বাড়িতে করে। আবার অনেকে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের বাগান করে থাকে। ফুল প্রত্যেক অনুষ্ঠানে আমরা শুভেচ্ছা হিসেবে দিয়ে থাকি। বিভিন্ন প্রকার ফুল নিয়েই আমাদের আজকের পোস্ট।এই পোস্ট থেকে আপনারা বিভিন্ন প্রকার ফুল সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ফুলের নামের তালিকা
পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের ফুল রয়েছে।আমরা এই পোস্টে বিভিন্ন প্রকার ফুলের নামের তালিকা আপনাদেরকে জানাব।গোলাপ,জবা,কৃষ্ণচূড়া,পলাশ,রজনীগন্ধা,সূর্যমুখী, হাসনাহেনা,ইত্যাদি।এদের মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধারনত গোলাপও জবা দেওয়া হয়।বাজারে এগুলোর প্রচুর চাহিদা থাকার কারনে অনেকে বানিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করে থাকে।
গোলাপ ফুল
গোলাপ ফুল অত্যন্ত সুন্দর ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল হওয়ায় বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ ফুলের চাষ করে থাকে। পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে।এগুলো দেখতে সাদা,হলদে ও লাল রঙের হয়ে থাকে।গোলাপ ফুল সাধারনত ৭ ফুট লম্বা হয়ে থাকে।
ফুলের নাম
পৃথিবীতে বাহারি রংয়ের ফুল রয়েছে।আমরা আজকে আলোচনা করব বিভিন্ন প্রকার ফুলের নাম।যেমন;গোলাপ,জবা,রজনীগন্ধা, শিমুল,পলাশ,সূর্যমুখী, টগর,গাঁদা, শাপলা,চামেলী,গন্ধরাজ,বকুল,কদম,হাসনাহেনা, পদ্মফুল ইত্যাদি।
শাপলা ফুল
শাপলা ফুল আমাদের জাতীয় ফুল এবং এটি একটি জলজ উদ্ভিদ।এই ফুল পুকুর বা জলাশয়ে পাওয়া যায়। সারা বছর শাপলা ফুল ফুটে থাকে।এর মূল মাটির সাথে এবং পাতা পানির উপরে ভেসে থাকে। পাতার সাইজ ২০-২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পৃথিবীতে ৩৫ প্রজাতির শাপলা ফুল পাওয়া গেছে। শাপলা ফুল দেখতে সাদা, নীল ও বেগুনী রঙের হয়ে থাকে।
জবা ফুল
জবা একটি চিরসবুজ গুল্ম উদ্ভিদ যার উচ্চতা ২.৫-৫মিটার। জবা ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। এটি সংকর প্রজাতি।জবা ফুল সাদা হলুদ ও কমলা রঙেরহয়ে থাকে। জবা ফুল সাধারনত শরৎকালে ও গ্রীষ্মকালে ফুটে থাকে।
কদম ফুল
কদম ফুল দেখতে গোলাকার ফুটবলের মতো।বর্ষাকালে এফুল ফোটে থাকে।কদম গাছের কান্ড সরল।কদম ফুল সাদা ও হলুদ রংয়ের সংমিশ্রণে এক অপরূপ সৃষ্টি।কদম আমাদের জন্য উপকারীও বটে।কদম গাছের ছাল জ্বরের জন্য উপকারী।
চামেলী ফুল
চামেলী ফুল কমবেশি সবাই চেনে।এটি বাংলাদেশে একটি পরিচিত ফুর।চামেলী ফুল লম্বায় ২-৮ মিটার এবং এর পাতা ৫-১২ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।এফুলের ঘ্রাণ খুবই মিষ্টি। এ ফুলের পাতা দিয়ে ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়।এর ফুল দিয়ে কর্পূর তৈরি করা হয়।
গন্ধরাজ
বাংলাদেশ ও ভারতে গন্ধরাজ ফুল খুবই পরিচিত। ইংরেজীতে এর নাম gardenia.কফি প্রজাতির এই গাছ চির সবুজ এবং লম্বায় ১৫ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।দোঁআশ মাটিতে গন্ধরাজ চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়।
পদ্ম ফুল
পদ্মফুল হলো জলজ উদ্ভিদ।এই ফুল অত্যন্ত সুন্দর।পদ্মফুল সাধারনত খালে,বিলে পাওয়া যায়।বর্ষাকালে ও শরৎকালে এ ফুল ফোটে।সাদা, নীলও লাল রংয়ের পদ্মফুল পাওয়া যায়।পদ্মফুলের মূল মাটির নিচে ও পাতা পানির উপরে থাকে।পানি বাড়ার সাথে সাথে পাতা উপরে উঠতে থাকে।
বকুল ফুল
বকুল ফুল বাংলাদেশের একট জনপ্রিয় ফুল।বাংলাদেশের সব জায়গায় এ ফুল পাওয়া।বকুল ফুল দেখতে খুবই ছোট।এর আকার ১ সেন্টিমিটার। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ।ফুল শুকিয়ে গেলেো সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।বকুল ফুল দেখতে তারার মতো।
গেন্দা ফুল
গাঁদা ফুলকেই আমরা গেন্দা ফুল নামে ডেকে থাকি।এটি মূলত বিদেশী ফুল।গেন্দা ফুলকে ইংরেজীতে মেরিগোল্ড বলা হয়।এর প্রায় ২০ টি প্রজাতি রয়েছে।শীতকালে এ ফুল ফোটে থাকে।বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফুল হলো গেন্দা ফুল।
ফুলের ছবি
ফুলের ছবি কার না ভালো লাগে।তাইতো আমরা প্রিয়জনের জন্মদিনে ও স্পেশাল দিনে ফুল দেই।তাই অনেকে ইন্টানেটের সাহায্য নেই।আর তাইতো আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য দিচ্ছি ফুলের ছবি।
ফুলের পিকচার
ফুলের পিকচার প্রিয়জনকে পাঠালে প্রিয়জন যেমন খুশি হয় তেমনি নিজেরও ভালো লাগে।তাইতো আমরা দিচ্ছি একগুচ্ছ ফুলের পিকচার।এখান থেকে আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে পাঠাতে পারেন।
tags: ফুল, ফুলের নামের তালিকা, গোলাপ ফুল, ফুলের নাম, শাপলা ফুল, জবা ফুল, কদম ফুল, চামেলী ফুল, গন্ধরাজ, পদ্ম ফুল, বকুল ফুল, গেন্দা ফুল, ফুলের ছবি, ফুলের পিকচার
Great post! I am actually getting ready to across this information, is very helpful my friend. . ফুলের ছবি ডাউনলোড করুন ২০২২ সালের সেরা
ReplyDelete