রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা | শেষের কবিতা | অনন্ত প্রেম | শেষ কথা |গীতাঞ্জলি | Rabindranath Tagore's love poem

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, শেষের কবিতা, গীতাঞ্জলি, সোনার তরী, অনন্ত প্রেম, শেষ কথা

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন সব্যসাচী লেখক।সাহিত্যের  সকল শাখায় তার বিচরণ রয়েছে। ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, ছড়া রোমান্টিক প্রেমের কবিতা, দুঃখ,বিরহ সবকিছুতেই তার অবদান  রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা অত্যন্ত রোমান্টিক। প্রেমের যথার্থ অনূভুতি  অত্যন্ত  নিখুতভাবে তোলে ধরেছেন।

    শেষের কবিতা

    শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাস।লেখা ও প্রকাশের দিক দিয়ে এটি ১০ তম উপন্যাস।শেষের কবিতা হলো রোমান্টিক  উপন্যাস।এ উপন্যাসটি নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের অনূভুতি  নিয়ে লেখা।শেষের কবিতা উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অমিত রায়।  

    গীতাঞ্জলি

    গীতাঞ্জলি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কাব্যগ্রন্থ। এতে ১৫৭ টি গীতিকবিতা রয়েছে.। কবিতাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রবীন্দ্রনাথ নিজেই সুর করেছেন।১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ১৯১২ সালে সংস অফারিংস (songs offering)  কাব্যগ্রন্থ  প্রকাশিত হয়।এতে গীতাঞ্জলি ও সমসাময়িক  আরও কয়েকটি  কাব্যগ্রন্থেরর কবিতা তিনি অনুবাদ করে প্রকাশ করেন।এজন্য তিনি নোবেল পুরষ্কার  পান।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর—গীতাঞ্জলি

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহন  করেন।সাহিত্যের  সকল শাখায় রবীন্দ্রনাথের বিচরন রয়েছে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরষ্কার পান।রবীন্দ্রনাথ নিজেই গীতাঞ্জলি কাব্যের কবিতা অনুবাদ করতে শুরু করেন।তিনি  ৫৭ টি কবিতা অনুবাদ  করেন।অনুবাদকৃত  কবিতা গুলো তিনি Songs offering   এ প্রকাশ করেন। মূলত এই কারেনই তিনি নোবেল পুরষচ পান।গীতাঞ্জলিততে রয়েছে ভক্তিমূলক গীতিকবিতা। তিনি এই কাব্যগ্রন্থটি শিলাইদহে বসে লিখেন।

    সোনার তরী

    সোনার তরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। এটি একটি রোমান্টিক কাব্য।এ গ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে রচিত হয়।এ কাব্যগ্রন্থটি " মানসী সোনার তরী" কব্যের অন্তর্গত। সোনার তরী কাব্যটি তিনি দেবেন্দ্রনাথ সেনকে উৎসর্গ করেছেন।

    সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    সোনার তরী
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    গগনে গরজে মেঘ,ঘন বরষা

    কূলে একা বসে আছি,নাহি ভরসা।

    রাশি রাশি ভারা ভারা

    ধান কাটা হলো সারা

    ভরা নদী ক্ষুরধারা

    খর-পরশা।

    কাটিতে কাটিতে ধান এলো বরষা


    একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা,

    চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
    পরপারে দেখি আঁকা

    তরুছায়ামসীমাখা

    গ্রামখানি মেঘে ঢাকা

    প্রভাত বেলা।

    এ পারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।


    গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,

    দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

    ভরা পালে চলে যায়

    কোন দিকে নাহি চায়

    ঢেউগুলি নিরুপায়

    ভাঙ্গে দু'ধারে,

    দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

    ওগো তুুুুমি কোথা যাও কোন বিদেশেে

    বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।

    যেয়ো যেথা যেতে চাও

    যারে খুসি তারে দাও

    শুধু তুমি নিয়ে যাও

    ক্ষণিক হেসে

    আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।


    যত চাও তত লও তরনী ভরে

    আর আছে?-আর নাই,দিয়েছি ভরে।

    এতকাল নদীকূলে

    যাহা লয়ে ছিনু ভুলে

    সকলি দিলাম তুলে

    থরে বিথরে

    এখন আমারে লও করুনা করে।

    ঠাঁই নাই,ঠাঁই নাই!ছোট সে তরী

    আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

    শ্রাবণ গগন ঘিরে

    ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,

    শূন্য নদীর তীরে

    রহিনু পড়ি

    যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।

    অনন্ত প্রেম

    অনন্ত প্রেম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রেমের কবিতা। যৌবন কাল থেকে শেষ জীবন পর্যন্ত তার ভালোবাসা ভালোলাগা এ কবিতায় তুলে ধরেছেন। তিনি এক বালিকার প্রেমে পড়েছিলেন সেই প্রেমের কথা কবিতায় তুলে ধরেছেন।তাছাড়া প্রকৃতির এই যে রুপ লাবণ্য এগুলোর ভালাবাসা অনন্তকাল চলবে,, এই কবিতায় তা বলেছেন।

    অনন্ত প্রেম-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি,শত রুপে শত বার,

    জনমে জনমে,যুগে যুগে অনিবার।

    চিরকাল ধরে মুগ্ধ হ্রদয়

    গাঁথিয়াছে গীতহার,

    কত রুপ ধরে পরেছ গলায়,

    নিয়েছ সে উপহার,

    জনমে জনমে,যুগে যুগে অনিবার।

    যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,

    প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,

    অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,

    অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে

    দেখা দেয় অবশেষে

    কালের তিমিররজনী ভেদিয়া

    তোমারি মুরতি এসে,

    চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
    আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি,

    যুগল প্রেমের স্রোতে

    অনাদি কালের হ্রদয় উৎস হতে।

    আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা

    কোটি প্রমিকের মাঝে

    বিরহবিধুর নয়নসলিলে,

    মিলনমধুর লাজে

    পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।

    আজি সেই চিরদিবসের প্রেম

    অভসান লভিয়াছে

    রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।

    নিখিলের সুখ,নিখিলের দুখ,

    নিখিল প্রাণের প্রীতি,

    একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে

    সকল প্রেমের স্মৃতি

    সকল কালের সকল কবির গীতি

    শেষ কথা

    শেষ কথা

    রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুর

    রাগ কর নাই কর,শেষ কথা এসেছি বলিতে,

    তোমার প্রদীপ আছে,নাইকো সলিতে।

    শিল্প তার মূল্যবান,দেয় না সে আলো,

    চোখেতে জড়ায় লোভ,মনেতে ঘনায় ছায়া কালো,

    অবসাদে।তবু তারে প্রাণপনে রাখি যতনেই,

    ছেড়ে যাব তার পথ নাই,

    অন্ধকারে অন্ধদৃষ্টি নানাবিধ ম্বপ্ন দিয়া ঘেরে

    আচ্ছন্ন করিয়া বাস্তবেরে।

    অষ্পষ্ট তোমারে যবে,

    ব্যাগ্রকন্ঠে ডাক দিই অত্যুক্তির স্তবে।


    কবু কি জানিতে পাবে অস্ম্মানে নত এই প্রাণ,

    বহন করিছে নিত্য তোমারি আপন অসম্মান

    আমারে যা পারিলে না দিতে,

    সে কার্পণ্য,তোমারেই চিরদিন রহিল বঞ্চিতে।

    tags: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা, শেষের কবিতা, গীতাঞ্জলি, সোনার তরী, অনন্ত প্রেম, শেষ কথা

    Comments

    Popular posts from this blog

    ১ থেকে ২০ এর নামতা pdf | নামতা 1 থেকে 20 পর্যন্ত PDF | নামতা ১ থেকে ১০০ pdf | Namata 1 to 20 PDF | Namata 1 to 100 pdf

    নামতা ১ থেকে ২০ pdf | ১ থেকে ২০এর নামতা | নামতা 1 থেকে 20 পর্যন্ত

    ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত বানান | 1 থেকে 100 ইংরেজি বানান | আরবি সংখ্যা ১ থেকে ১০০